চলন্ত যৌবন
-বিকাশ কুমার মাইতি
মাতৃভূমির কোলে যৌবন আসে
নব নব সাজে, নব রূপ ক্ষণে ক্ষণে
চারিদিক শোভিত নব নব আঙ্গিকে|
যত দূর দৃষ্টিশক্তি মেলে দেখি,মুগ্ধ সৌরভ
দিকে দিকে জীবন্ত ভাসে
রবির কিরণে ঝলমলিয়ে খেলে|
পশ্চাতে আমি
অনন্ত পিছিয়ে পিছিয়ে ছুটি
ধরেছি, মনে হয়!
পৌঁছে দেখি লক্ষযোজন শূণ্যতা গড়ে-
অসীম আকাশে লুকায় ছুটে|
থমকে নিরুপায়, বদন ধারা গড়িয়ে পড়ে
অনন্ত যৌবন ডাক দিয়ে যায়
জানালার ফাঁকে মনের ঘরে|
আঁধার নামবে ধরণীর বুকে
আকাশ তারা উঁকি দিয়ে অট্টহাসে
ধরা অধরা থেকে যায় সবে, শেষে আমি
একা অসীম আকাশের নীচে
চলে যাব ক্ষণিক পরে এ বক্ক ছিঁড়ে
যৌবন থেকে বৃদ্ধ কঙ্কাল হয়ে
কত শতক পরে খুঁজে পাবে নৃতত্ববিদ-
তবু তুমি যৌবনে রসোত্তীর্ণ ধরণীর বুকে
অনন্ত যৌবন তোমার সাজে;
তোমার রূপ তুলনা বিলাপ বাক্য ভ্রমে
তুলনার সাড়া কাহার অন্তরে বাজে?
এ জীব অহংকারী হবে
একে একে হারাবে যৌবন, গচ্ছিত যাদু ঘরে
তুমি অনন্য অনন্ত তিলোতমা
ধরণীর বুকে|